ঢাকা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্টারপোলের লাল তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি মানবপাচারকারী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
  • ১৭০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুলিশ ও অপরাধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের লাল তালিকায় (রেড নোটিস) ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি অপরাধীর নাম রয়েছে। কিন্তু এই প্রথম কোনো মানবপাচারকারী বাংলাদেশির নাম সংস্থাটির তালিকায় স্থান পেয়েছে।

ডয়চে ভেলে জানায়, তালিকায় উঠে আসা মানবপাচারকারীর নাম মিন্টু মিয়া। তার বিরুদ্ধে বিদেশে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করা এবং চাকরি প্রত্যাশীদের অবৈধভাবে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে তার নাম তালিকায় যোগ করে ইন্টারপোল। বর্তমানে সারা বিশ্বের সাত হাজার ৩৬৮ জন অপরাধীর নাম এই তালিকায় রয়েছে।

ইন্টারপোলের তথ্যানুযায়ী, মিন্টু মিয়ার বয়স ৪১ বছর। তিনি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা।

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, মিন্টু মিয়াসহ ছয়জন মানবপাচারকারীর নাম ইন্টারপোলের লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এই পাচারকারীরা বিদেশে চাকরি দেয়ার নাম করে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর লিবিয়ায় পৌঁছার পর তাদের আটকে রেখে আরো অর্থের জন্য উপর নির্যাতন চালায়।

সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, ইন্টারপোলে অপরাধীদের বিস্তারিত তথ্য দেয়ায় তাদের চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হবে। যেকোনো দেশে থেকেই এখন মিন্টু মিয়াসহ অপরাধীদের আটকের চেষ্টা করা হবে।

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর আশরাফুল ইসলাম ইন্টারপোলে পাচারকারীদের নাম দেয়ার বিষয়টির প্রশংসা করে বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগ মূল অপরাধীদের ধরতে সহায়তা করবে। এছাড়া পাচার হয়ে বাংলাদেশিদের এখানে আসা বন্ধ হবে। এই উদ্যোগ সফল হচ্ছে কি-না, তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

গত মে মাসে লিবিয়ায় ২৪ জন বাংলাদেশিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার পর মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশে অভিযান শুরু করে পুলিশ। জুন মাসে অন্তত ৫০ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এটি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে বড় অভিযান’ বলে জানায় পুলিশ।

ওই অভিযানে আটকদের মধ্যে একজন শীর্ষ পাচারকারী রয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই পাচারকারী প্রায় ৪০০ বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইন্টারপোলের লাল তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি মানবপাচারকারী

আপডেট টাইম : ০৭:১৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুলিশ ও অপরাধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের লাল তালিকায় (রেড নোটিস) ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি অপরাধীর নাম রয়েছে। কিন্তু এই প্রথম কোনো মানবপাচারকারী বাংলাদেশির নাম সংস্থাটির তালিকায় স্থান পেয়েছে।

ডয়চে ভেলে জানায়, তালিকায় উঠে আসা মানবপাচারকারীর নাম মিন্টু মিয়া। তার বিরুদ্ধে বিদেশে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করা এবং চাকরি প্রত্যাশীদের অবৈধভাবে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে তার নাম তালিকায় যোগ করে ইন্টারপোল। বর্তমানে সারা বিশ্বের সাত হাজার ৩৬৮ জন অপরাধীর নাম এই তালিকায় রয়েছে।

ইন্টারপোলের তথ্যানুযায়ী, মিন্টু মিয়ার বয়স ৪১ বছর। তিনি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা।

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, মিন্টু মিয়াসহ ছয়জন মানবপাচারকারীর নাম ইন্টারপোলের লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এই পাচারকারীরা বিদেশে চাকরি দেয়ার নাম করে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর লিবিয়ায় পৌঁছার পর তাদের আটকে রেখে আরো অর্থের জন্য উপর নির্যাতন চালায়।

সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, ইন্টারপোলে অপরাধীদের বিস্তারিত তথ্য দেয়ায় তাদের চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হবে। যেকোনো দেশে থেকেই এখন মিন্টু মিয়াসহ অপরাধীদের আটকের চেষ্টা করা হবে।

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর আশরাফুল ইসলাম ইন্টারপোলে পাচারকারীদের নাম দেয়ার বিষয়টির প্রশংসা করে বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগ মূল অপরাধীদের ধরতে সহায়তা করবে। এছাড়া পাচার হয়ে বাংলাদেশিদের এখানে আসা বন্ধ হবে। এই উদ্যোগ সফল হচ্ছে কি-না, তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

গত মে মাসে লিবিয়ায় ২৪ জন বাংলাদেশিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার পর মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশে অভিযান শুরু করে পুলিশ। জুন মাসে অন্তত ৫০ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এটি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে বড় অভিযান’ বলে জানায় পুলিশ।

ওই অভিযানে আটকদের মধ্যে একজন শীর্ষ পাচারকারী রয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই পাচারকারী প্রায় ৪০০ বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।